Skin care

সঠিক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট নির্বাচন Leave a comment

আচ্ছা,  আমার স্কিন অয়েলি, আমার জন্যে কোন ময়েশ্চারাইজার ভালো হবে?  এই ধরণের প্রশ্ন সচরাচরই পাওয়া যায়।অনেকেই অনেক কিছু সাজেস্ট করলেও দেখা যায় স্কিনে স্যুট করছে না এবং আরো নানা প্রবলেম। কারণ, সবার স্কিন সমান নয়। তাই সবচেয়ে ভালো নিজের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট নিজেই সিলেক্ট করা। কিন্তু অনেকেই কনফিউজড হয়ে যায় এই ব্যাপারে।  তাই আজকে জানাবো কিছু টিপস, যার মাধ্যমে আপনি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট কেনার ক্ষেত্রে অনেকটা ধারণা পেয়ে যাবেন।

১. স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট কেনার আগে সবচেয়ে বেশী যেটা গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো নিজের স্কিন টাইপ জানা।

কারণ এতে কোন  প্রোডাক্টটি আপনার স্কিনের জন্যে তৈরী তা বুঝতে পারবেন। নিজের স্কিন টাইপ বুঝতে হলে একটি টেস্ট করতে পারেন। সকাল বেল ঘুম থেকে উঠে আপনার মুখের ত্বকে হাত বোলালেই তা বুঝতে পারবেন। যদি আপনার ত্বক খসখসে লাগে তাহলে আপনার ড্রাই স্কিন। যদি পুরো মুখ তেলতেলে লাগে, তাহলে আপনার অয়েলি স্কিন। আর যদি মুখের টি জোন এড়িয়া অয়েলি এবং বাকি অংশ নরমাল/ড্রাই লাগে তবে আপনার কম্বিনেশন স্কিন।

২. অনেক চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে মজে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

কারণ চট করে  হেলদি স্কিন পাওয়া সম্ভব নয়। এ জন্যে ধৈর্য ধরে ভালো কোনো প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হয়। অনেক প্রোডাক্ট দাবি করে যে, কয় দিনের মধ্যেই স্কিন ফর্সা , সুন্দর করে তুলবে। এই সবের দিকে পা না বাড়ানোই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এতে স্কিনের ক্ষতি ছাড়া কিছুই হবে না।

৩. নিজের জন্যে সময় নিন।

সবসময় আপনি একবারেই আপনার জন্যে পারফেক্ট স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট খুজে পাবেন না। এজন্য সময় নিতে হবে। ইন্টারনেটে অনেক ধরণের প্রোডাক্ট এর রিভিউ পাবেন, সেগুলো চেক করতে পারেন। হুট করে শপে একটা প্রোডাক্ট দেখেই কিনে ফেলা উচিত নয়।

৪. অনেকেই ভাবেন, কমদামী প্রোডাক্ট খারাপ।

বেশী দামি প্রোডাক্টগুলো ভালো কাজ করে। তাই হুট করে অনেকগুলো টাকা খরচ করে এক একটা প্রোডাক্ট কিনে ফেলেন। এটা কখনোই ঠিক না। বেশী দামি প্রোডাক্ট মানেই যে ভালো তা কিন্তু নয়। অনেক কমদামী প্রোডাক্টসও কিন্তু বেশী দামের প্রোডাক্টস এর মতো সেইম কাজ করে। তাই প্রোডাক্টস এর উপর প্রথমে রিসার্চ করতে হবে, এরপর এর দিকে হাত বাড়াতে হবে।

৫. স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট কেনার আগে এর উপাদানসমূহের দিকে নজর দিতে হবে।

যে কোনো হ্মতিকর উপাদান যেমন, প্যারাবেন ইত্যাদি যুক্ত প্রোডাক্ট থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন। চেষ্টা করবেন হারবাল উপাদান সমৃদ্ধ উপাদান যেমন – কোকোনাট অয়েল, আর্গান অয়েল, নিম, রোজমেরী ইত্যাদি সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট কিনতে।

৬. সবসময় চেষ্টা করবেন বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট কিনতে।

কারণ এটা আপনার স্কিন বলে কথা। তাই এটা সবসময় মাথায় রাখবেন। যে ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট আপনি আগে ব্যবহার করেছেন এবং ভালো ফল পেয়েছেন, ওই সকল ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট কেনার চেষ্টা করবেন। তবে আপনি যদি নতুন কোনো ব্র্যান্ড ট্রাই করতে চান, তবে নেট থেকে আগে রিভিউ দেখে নেবেন।

৭. স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট কেনার আগে তা ট্রাই করে দেখা।

এতে ওই প্রোডাক্টে আপনার অ্যালার্জেটিক প্রব্লেম আছে কিনা তা বুঝতে পারবেন। এছাড়াও স্কিনে স্যুট করে কিনা তাও বুঝতে পারবেন। তাই ভালো কোনো শপ থেকে প্রোডাক্ট অবশ্যই ট্রাই করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

৮. নিজেকেই সচেতন ভুমিকা পালন করতে হবে।

সর্বোপরি,  নিজের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট কিনতে নিজেকেই সচেতন ভুমিকা পালন করতে হবে। দরকার পড়লে স্কিন স্পেশালিষ্ট এর সাথে আলাপ করে নিতেও পারন। নইলে প্রোডাক্ট কিনে এনে বাসায় ফেলে রাখা ছাড়া উপায় থাকবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

0