সুখী জীবনের জন্য ৫ টি অভ্যাস (05 habits) Leave a comment

১। স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেয়া

নিয়মিত শরীর চর্চা বা এক্সেসাইজ করতে হবে। স্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। যে কোন কিছুই হোকনা কেন, কোন অবস্থাতেই শরীরচর্চা বাদ দেয়া যেবেনা। ২ মিনিটের জন্য হলেও করতে হবে।

২। না বলতে শিখতে হবে।

বর্তমান সময়ে না বলতে শেখা টা অনেক জরুরি। কারণ আপনার বিচারে দেখা যাবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনাকে না বলতে হচ্ছে। কাজেই যেখানে না বলা দরকার সেখানে না বলতে না পেরে হ্যাঁ বললে অহেতুক মানসিক যন্ত্রনায় ভুগবেন। কাজেই না বলতে শিখুন। যে বিষয়টি আপনার জীবনের মিশনের সাথে যায় না অথবা অহেতুক, সেই বিষয়ে অবশ্যই না বলা শিখুন। যেমন অফিসের পরে কলিগ অথবা বন্ধুদের আড্ডাবাজিতে না বলা শিখুন। কারণ আপনার পরিবার আপনার কলিগের সাথে আড্ডা বাজি করার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কোন আলোচনায় কারো গীবত হলে সেখানে না বলা শিখুন। এভাবে যে সমস্ত কাজ অহেতুক এবং আপনার উন্নতির জন্য সংশ্লিষ্ট নয় সেসব কাজ কে পরিহার করুন এবং না বলা শিখুন।

আরো পড়ুনঃ ডেঙ্গু (Dengue Fever) থেকে নিজেকে রক্ষা করার ৫টি সহজ উপায়, বডি শপের টি-ট্রি রেঞ্জ এর কোনটি কখন ব্যবহার করবো

৩। প্রত্যেক জিনিসের একটা প্ল্যান করুন

একটা পরিকল্পনা মাথায় রাখুন এবং সেটা সম্পন্ন করার সময় বেঁধে নিন। নিজের ইমোশন কে অগ্রাধিকার না দিয়ে বাস্তবতাকে অগ্রাধিকার দিন। আবার প্লান করতে গিয়ে বেশী সময় নষ্ট করবেন। তবে স্পষ্ট বা ক্লিয়ার প্ল্যানিং ছাড়া কোনো কাজও করবেন না।

৪। নিজের জ্ঞান বাড়ান

প্রমথ চৌধুরী বলেছিলেন শিক্ষিত মানুষ মাত্রই স্বশিক্ষিত। অর্থাৎ শিক্ষা নিজের গরজেই অর্জন করতে হয়। নিয়মিত জার্নাল পড়ুন, বই পড়ুন। নিজের জ্ঞানকে আরো বেশি পরিপূর্ণ করতে থাকুন। বিশ্বাস করুন আজকের অর্জিত জ্ঞান আপনাকে কোনো না কোনো সময়ে উপকৃত করবে। স্টিভ জবসকে কিন্তু তার কোন এক সময় শেখা টাইপোগ্রাফি পরবর্তীতে আইফোনের ফন্ট ডেভলপ করতে সহায়তা করেছিল। তবে শুধু জ্ঞান অর্জন করলেই চলবে না, তা বাস্তবে প্রয়োগ করতে হবে। জ্ঞান তখনই সত্যিকারের জ্ঞান হয় যখন তাঁর বাস্তবিক প্রয়োগ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে RIP শব্দটি মনে রাখবেন. R এর অর্থ Read, I এর অর্থ Implement এবং P এর অর্থ Propagate। জ্ঞান অর্জনের জন্য পড়বেন, সেটাকে বাস্তবে প্রয়োগ করবেন এবং আরেকজনের কাছে তা প্রচার করবেন।

করোনা, ওমিক্রন মহামারী থেকে প্রতিরক্ষামূলক দশটি উপদেশ (Corona Omicron)

৫। নিজের জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা বৃদ্ধির জন্য লেগে থাকা।

যারা সুখী তারা জানে তাদের জন্য কোনটা বেশি জরুরি। তারা জানে কোথায় তাদের প্রয়োজনীয়তা। কোথায় তাদের জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা অর্জন করা প্রয়োজন। যখন একজন মানুষ নিজেকে ভালোভাবে চেনে, তখন নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। কাজেই লেগে থাকাটা জরুরী। নিজের দুর্বল পয়েন্ট গুলো চিহ্নিত করে সেগুলো কে শক্তিশালী করার চেষ্টা করতে থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *