সমস্যা অনেকেরই হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে পেরিফেরাল
নিউরোপ্যাথি বলা হয়। প্রধানত হাত-পায়ের স্নায়ু কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে
হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া ভাব হতে পারে। এ ছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত ও দীর্ঘদিনের
ডায়াবেটিস, কিডনি ও থাইরয়েডের সমস্যা, শরীরে ভিটামিন বি১২ ও বি১ এর ঘাটতি,
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, মদ্যপান, ছত্রাক সংক্রমণ, মহিলাদের মেনোপজের আগে ও
পরে, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ইত্যাদি কারণে হাতে-পায়ে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে।
সুঁই ফোঁটার মতো বিঁধে। ঝিমঝিম বা অবশও লাগতে পারে। পায়ের স্নায়ু ঠিক আছে
কিনা তা বোঝার জন্য তেমন কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। তবে
চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি একটি আলপিন বা টিউনিং ফর্ক ব্যবহার করেই
হাতে-পায়ের অনুভূতি যাচাই করতে পারেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে সচেতন থাকলে এ
সমস্যা কমিয়ে রাখা সম্ভব। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ
নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। হাতে পায়ের যত্ন নিতে হবে। দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ
মুক্ত থাকতে হবে। কিডনি বা থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে তার যথাযথ চিকিৎসা করতে
হবে। স্নায়ুর যন্ত্রণা লাঘব করে এমন কিছু ওষুধ পাওয়া যায় তা সেবন করতে হবে।