কোনো অংশ পুড়ে গেলে সেই অংশে শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা ও জ্বালাপোড়া। সঠিক
ব্যবস্থা গ্রহণ করা না গেলে কিছুক্ষণের মধ্যে পোড়া স্থানটিতে ফোসকা হতে
দেখা দেয়। ফলে ত্বকের উপরের চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং স্থানটি লাল হয়ে
ব্যথা করতে থাকে। তবে পুড়ে যাওয়ার সাথে সাথে যদি ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাহলে
এটি দ্রুতই সারিয়ে তোলা সম্ভব হয়। আসুন জেনে নেই পুড়ে যাওয়ার প্রাথমিক কিছু
ঘরোয়া চিকিৎসা।
মধুর
অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান হাইপারট্রোফিক
ক্ষত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে। গজ ব্যান্ডেজের উপর কিছু পরিমাণ মধু দিয়ে
দিন। এটি পোড়া স্থানে লাগিয়ে রাখুন। দিনে তিন থেকে চারবার এই ব্যান্ডেজ
পরিবর্তন করুন।
পুড়ে যাওয়া স্থানটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি কয়েক মিনিট করুন।
এমনকি একটি কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে সেটি পোড়া স্থানে লাগাতে পারেন। এটি
কয়েক ঘন্টা পর পর ব্যবহার করুন। তবে ভুলেও বরফ ব্যবহার করবেন না। এতে বরফ
রক্ত চলাচলে বাঁধা প্রদান করে যার কারণে সংবেদনশীল কিছু টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত
হতে পারে।
পুড়ে যাওয়া স্থান নিরাময়ে অ্যালোভেরার
চাইতে ভালো আর কোন কিছু হতে পারেনা। এটি ব্যথা কমানোর সাথে সাথে পুড়ে
যাওয়া স্থানটিতে দ্রুত চামড়ার বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। অ্যালোভেরা অল্প
কিছুদিনের মধ্যে আপনার পুড়ে যাওয়া চামড়াটিকে ঠিক আগের মতন করে দিতে পারে।
অ্যালোভেরার পাতা কেটে সেটি পোড়া স্থানে ব্যবহার করুন। এক চা চামচ
অ্যালোভেরা জেল এবং হলুদের গুঁড়ো মিশিয়েও ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
সমপরিমাণ সাদা ভিনেগার বা অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এবং পানি একসাথে মিশিয়ে
নিন। এই মিশ্রণটি পোড়া স্থানে ব্যবহার করুন। এছাড়া একটি কাপড় ভিনেগারে
ভিজিয়ে রাখুন। সেটি পোড়া স্থানের উপর ব্যবহার করুন। প্রতি দুই বা তিন
ঘন্টা পর পর এই কাপড়টি ব্যবহার করুন।
ত্বকের
জ্বালাপোড়া কমাতে আলুর রস বেশ কার্যকর। আলু পাতলা করে কেটে নিন। এটি পোড়া
ত্বকের স্থানে ব্যবহার করুন। এছাড়া আলু রস করে নিন। এই আলুর রস স্থানে
লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট।