অস্বাস্থ্যকর ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খায়। আর যখন আপনি উচ্চমাত্রার এসিডিক
খাবার খাবেন তখন আপনার শ্বাসকষ্ট, বন্ধ্যাত্ব, কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ
ইত্যাদি রোগ হতে পারে। তাই অক্সিজেন সমৃদ্ধ খাবার সার্বিক স্বাস্থ্যের
উন্নতিতে সাহায্য করে বলে এ জাতীয় দেহের জন্য অনেকবেশি জরুরি। আর দেরি না
করে আজই আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করে নিন অক্সিজেন সমৃদ্ধ এই খাবারগুলোর
নাম।
এই খাবারগুলো ফাইবারে সমৃদ্ধ এবং খুব সহজেই হজম হয়। এরা এনজাইম এ পরিপূর্ণ
এবং শরীরের হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। আপনি যদি রক্তের
অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনার ডায়েটে এই খাবারগুলো যোগ
করুন।
এই ফলগুলো কিডনি পরিষ্কারে ভালো কাজ করে। পেঁপে কোলন পরিষ্কারে সাহায্য
করে। পার্সলে যখন কাঁচা খাওয়া হয় তখন তা অন্ত্রের ক্ষতিকর পদার্থ দূর করতে
সাহায্য করে এবং মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে বলে কিডনি পরিষ্কারেও ভূমিকা
রাখে। আম, লেবু এবং তরমুজ ভিটামিনে সমৃদ্ধ এবং হজমের সময় ক্ষারীয় গঠন তৈরি
হয়।
৩। মিষ্টি আঙ্গুর, নাশপাতি, আনারস, কিশমিশ এবং সবজির রস
এই ফলগুলোতে ভিটামিন এ, বি ও সি এর পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেও সমৃদ্ধ।
এই খাবারগুলো রক্ত পরিচালনায় প্রভাব ফেলে বলে রক্তচাপ কমতে সাহায্য করে,
ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। কোষীয় ডিটক্সিফিকেশনের জন্য সবজির রস
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কারণ এরা আয়রনে সমৃদ্ধ।
৪। ক্যাপসিকাম
ক্যাপসিকাম এন্ডোক্রাইন গ্রন্থির জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম এ সমৃদ্ধ।
উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ থাকে ক্যাপসিকামে যা অসুস্থতা ও স্ট্রেস সৃষ্টির
কারণ ফ্রি র্যাডিকেলকে দূর করতে সাহায্য করে। এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল
উপাদান ও থাকে।
৫। ফলের রস, কিউই
এগুলো ফ্ল্যাভোনয়েডে সমৃদ্ধ।
এতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে যা হজমের সময় এসিডিক যৌগ গঠন করে না। বস্তুত এদের
মধ্যে এমন উপাদান থাকে যা ক্ষারীয় গঠনকে উদ্দীপিত করে এবং অনেক শক্তি
প্রদান করে।
৬। পাকা কলা, জাম, অ্যাভোকাডো, গাজর, রসুন, সেলেরি ও খেজুর
এই খাবারগুলোতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য
উপকারী। এদের pH এর মাত্রা ৮। খেজুর, জাম জাতীয় ফল এবং রসুনে এমন উপাদান
থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
সূত্র: BD-Pratidin