
নারী পুরুষ নির্বিশেষে চুল এবং মাথার ত্বকের সমস্যাটা বিশ্বব্যাপি। কারো চুল পাতলা হয়ে যায়, কারো পড়ে যায়, কারো বা ভেঙ্গে যায় আবার কারো চুল বেশ দেরিতে বড় হয়। মাথার খুশকি বা চুলকানী আমাদের প্রায় অসস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। মাথার চুল এবং ত্বকের সমস্যাটা আমাদের জন্য অনেক বেশি হতাসা জনক হলেও মারাত্মক কোন রোগের কারন এটা নয় মনে রাখাটা জরুরী।
চুল পড়ে যাওয়া সহ বিভিন্ন সমস্যার কারন গুলো আমারা একটু একটু করে আলোচনা করবো
চুল পড়াঃ
- চুল পড়ার সাথে সাথে আরো কয়েকটি জিনিস জড়িত
- – চুল ভেঙ্গে যাওয়া।
- – চুল পাতলা হয়ে যাওয়া।
- – চুল গোড়া থেকে পড়ে যাওয়া।
বেশির ভাগ মানুষের সাধারনত গড়ে দৈনিক ৫০ থেকে ১০০ টি চুল পড়ে যায়। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে সবার চুল পাতলা হয়ে যায়। যদিও সবার ক্ষেত্রে ব্যপারটা সমান ভাবে ঘটে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চুল পাতালা হয়ে যাওয়া বা চুল পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারনটা বংশগত হয়ে থাকে। এটা বাবা মা উভের পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে সন্তানরা পেয়ে থাকে। বংশগত ভাবে ধারন করা মেয়েদের সাধারনত চুল পাতলা হয়ে যায় অন্যদিকে ছেলে পুরোই ন্যাড়া হয়ে যায়। বংশগত ভাবে প্রাপ্য চুল পড়ার এই ব্যপারটা কৈশর থেকেই শুরু হয়ে যায় কারো কারো বা ৩০শে।
শিশুদের ক্ষেত্রেও প্রথম চুল পড়ে গিয়ে নতুন চুল উঠে। আর মহিলারা প্রশব করার ৬ মাস অথবা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর ১-৬মাসের ভিতর চুলে পড়তে বা পাতলা হয়ে যেতে পারে।
অতিরিক্ত চুল পড়ার আরো অন্যান্য কারন রয়েছেঃ
- – চুলের প্রসাধনী যেমনঃ চুলের কৃত্রিম বা স্থায়ী রঙ ব্যবহারেরে ফলে।
- – চুলের গরম রোলার ব্যবহার চুল কোকড়া করার জন্য। -হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করলে।
- – প্রোটেক্সন জেল ব্যবহার না করে হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহার করা।
- – চুল ধরে টানা বা আঙ্গুলের ফাকে নিয়ে কয়েক গুচ্ছ চুল ঘুরিয়ে পেচানোর বদ অভ্যাস।
- – এটা একটা মানষিক সমস্যা মেডিকেলের ভাষায় একে ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া বলে।
- – এই সমস্যায় পড়লে রোগী নিজেই নিজের চুল, ভুরু বা পাপড়ি টেনে টেটে ছেড়ে।
- – চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ঔষধের পার্শ্ব প্রতিকৃয়ার চুল পড়ে যেতে পারে, যেমন রেডিয়েশন থেরাপি বা কেমো থেরাপি।
- – অতিরিক্ত মানষিক চাপের ফলে চুলে পড়ে যায়। – হাইপারথাইরোডিজম বা লুপাস রোগ হলে চুলে পড়ে যায়।
- – ধাতব পয়জনীং যেমনঃআর্সেনিক বা থালিয়াম এর কারনেও চুল ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
- – পুষ্টির অভাবে চুল পড়ে যায়।
- – পড়ে গিয়ে আঘাত প্রাপ্ত হলে বা পুড়ে যাওয়া জায়গার চুলে থাকে না।
চুলের ত্বকের চুলকানী, ক্রাস্টিং (শক্ত আবরন ) বা ফ্লেকিং (পাতলা আবরন)
মাথার ত্বকের এই ধরনের সমস্যা গুলো হওয়ার বেশ কিছু কারন রয়েছে।
ক্রেডেল ক্যাপঃ
সাধারনত শিশুদের মাথার উপর এক ধরনের তৈলাক্ত হলুদ আবরনের তৈরি হয়। কিন্তু এটা কোন মারাত্মক অসুখের কারন নয়।
খুশকিঃ
মাথার পুরান চামড়া মরে গিয়ে চুলের ত্বকের উপর সাদা রঙ্গের আস্তর আকারে থেকে যায় যা মাথায়, ঘাড়ে বা কাধ পর্যন্ত বিস্তর ঘটায়। খুশকি অনেক সময় একজিমায় রুপান্তরিত হয়, যা স্বভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি মৃত চামড়ায় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হরমোণ জনিত কারণে বা ঋতুর পরিবর্তনের ফলেও খুশকির পরিমান বৃদ্ধি পায়।
উকুনঃ
উকুন আমাদের দক্ষিন এশীয় অঞ্ছলের অন্যতম সমস্যা। সাধারণত স্কুল পড়ুয়া বয়সি বাচ্চাদের এই উকুনের সংক্রামন বেশি হয়ে থাকে।
-এছাড়াও ভাইরাল, ব্যাক্টেরিয়া ইনফেকশন, এলার্জি প্রতিকৃয়া ইত্যাদি সমস্যায় মাথার ত্বকে হতে পারে।